Logo
সংবাদ শিরোনাম :
প্রেসক্লাবের নির্বাচনে নবীনদের জয়জয়কার – শাওন সভাপতি, আলম সম্পাদক নির্বাচিত শমশেরনগর হাসপাতালে দিনব্যাপী চক্ষু চিকিৎসা ক্যাম্প আল্পনার সাত রঙে সেজেছে বিটিআরআই সড়ক কমলগঞ্জে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমী উপলক্ষ্যে মঙ্গল শোভাযাত্রা খালেদা জিয়ার ৮১তম জন্মদিনে যুবদলের দোয়া মাহফিল সিলেটের পরিবেশগত সমস্যা নিয়ে কমলগঞ্জে বেলা’র প্রচারাভিযান ‘সাংবাদিকতার অধিকার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এর খসড়া চূড়ান্ত কমলগঞ্জ থানা পরিদর্শন করেন সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি মাধবপুর চা বাগান থেকে বৃদ্ধের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার সাংবাদিক তুহিন হত্যা‘র প্রতিবাদে কমলগঞ্জে মানব বন্ধন কমলগঞ্জে গলাকেটে ছাত্রদল নেতাকে হত্যা তীরের সাথে গলায় দড়ি দিয়ে যুবকের আত্মহত্যা কমলগঞ্জে জুলাই গণঅভ্যূত্থান দিবসে আলোচনা সভা কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্টোরকিপার সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত । কমলগঞ্জ উপজেলা জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদ গঠন দারিদ্রতার বেড়াজালে বন্দী অনন্যার চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন কমলগঞ্জে যুবতীর আত্মহত্যা সীমাহীন ভোগান্তিতে টমেটো গ্রাম বনগাঁও এর কৃষকরা চিরনিদ্রায় মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন (অব.) সাজ্জাদুর রহমান চা শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়নে অনিয়মের অভিযোগ

অস্তিত্ব সংকটে এখন দেওছড়া খালটি

রিপোটার : / ৪৪৭ বার দেখা হয়েছে
প্রকাশিত : শনিবার, ২৫ ডিসেম্বর, ২০২১

কমলকন্ঠ রিপোর্ট ॥ কমলগঞ্জ উপজেলার শমশেরনগর ও পতনঊষার ইউনিয়নের সংযোগস্থলে অবস্থিত দেওছড়া জলাশয়। অনাবৃষ্টিতে উজানের পানি কমে যাওয়া এবং ছড়ায় দূষণ ও পাহাড়ি পলি-বালু জমাট হওয়ায় অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে। অথচ একসময় অতিথি পাখির আবাসস্থল ছিল দেওছড়া জলাশয়। এলাকাবাসীর দাবি দ্রুত জলাশয়টি খনন করার।

শমশেরনগর ও পতনঊষার ইউনিয়নের কেছুলুটি ও ধূপাটিলা গ্রামের মধ্য দিয়ে পাহাড়ি দেওছড়া জলাশয়টি লাঘাটা নদীতে পড়েছে। এটি প্রায় ১০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ ৩ ফুট। বর্তমানে দূষণ ও পলি-বালু জমে প্রায় ১০ ফুট প্রস্থে পরিণত হয়েছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, ছড়াটি ভরাট হয়ে সরু হয়ে গেছে। এর দুই পাশে ঝোপ-জঙ্গল ও লতাপাতায় ভরা। একসময়ের পানিতে ভরা ছড়াটি এখন মৃতপ্রায়। পলি ও বালু জমে পানির স্বচ্ছতা হারিয়ে গেছে। বর্তমানে দেওছড়া খালটি বিলীনের পথে।

স্থানীয়রা জানান, একসময় ছড়ায় ছয় থেকে সাত ফুট গভীরতা থাকলেও বর্তমানে রয়েছে দুতিন ফুট। ওই এলাকায় শতাধিক কৃষক ছড়া জলাশয়কে চাষাবাদের সহযোগী হিসেবে ব্যবহার করতেন। এখন মৃতপ্রায় হওয়ায় কৃষকেরা বিপাকে পড়েছেন।

ধূপাটিলা গ্রামের আব্দুল মতিন জানান, দেওছড়াটি জলজ প্রাণীর একটি আবাসস্থল ছিল। এখান থেকে বিপুল পরিমাণে দেশি মাছ ধরা হতো। শীত মৌসুমে অতিথি পাখির অভয়াশ্রম ছিল। পলি-বালু জমে ছড়াটি প্রায় ভরাট যাওয়ার কারণে অতিথি পাখিরা এখন আর আসে না।

আব্দুল মতিন বলেন, ‘দেওছড়ার বিলে প্রত্যেক বছর শীতের সময় হাজারো অতিথি পাখি আসত। ভোরে পাখির ডাকে আমাদের ঘুম ভাঙত। এখন আর পাখি আসে না। একসময় প্রচুর দেশি মাছও পাওয়া যেত এ ছড়ায়। বর্তমানে লতাপাতা জমে খাল ভরাট হয়ে গেছে।’

কমলগঞ্জ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘এই স্থানটি পাখি ও মাছের জন্য একটি অপরূপ স্থান বলে শুনেছি। দেওছড়াটির ওই স্থান সংস্কার ও খননের মাধ্যমে পাখির আবাসস্থল ও মাছের বিচরণভূমি বৃদ্ধি করা যেতে পারে। এটি খননের জন্য ইতিপূর্বে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রস্তাবনাও পাঠানো হয়েছে।’

বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের সিলেট বিভাগীয় বন সংরক্ষক রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা ছিল না। তবে স্থানটি সরেজমিনে ঘুরে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়ার চেষ্টা করব।

এ ব্যাপারে কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আশেকুল হক বলেন, ‘পূর্বে প্রস্তাবনা পাঠানো হলেও সেটি অনুমোদন হয়নি। তবে উপজেলা কৃষি বিভাগের মাধ্যমে দেওছড়ার ওই জলাশয়টি সংস্কার করে পানি সরবরাহের জন্য চেষ্টা করব।’


আরো সংবাদ পড়ুন...
Developed By Radwan Ahmed
error: Content is protected !!
error: Content is protected !!