Logo
সংবাদ শিরোনাম :
প্রেসক্লাবের নির্বাচনে নবীনদের জয়জয়কার – শাওন সভাপতি, আলম সম্পাদক নির্বাচিত শমশেরনগর হাসপাতালে দিনব্যাপী চক্ষু চিকিৎসা ক্যাম্প আল্পনার সাত রঙে সেজেছে বিটিআরআই সড়ক কমলগঞ্জে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমী উপলক্ষ্যে মঙ্গল শোভাযাত্রা খালেদা জিয়ার ৮১তম জন্মদিনে যুবদলের দোয়া মাহফিল সিলেটের পরিবেশগত সমস্যা নিয়ে কমলগঞ্জে বেলা’র প্রচারাভিযান ‘সাংবাদিকতার অধিকার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এর খসড়া চূড়ান্ত কমলগঞ্জ থানা পরিদর্শন করেন সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি মাধবপুর চা বাগান থেকে বৃদ্ধের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার সাংবাদিক তুহিন হত্যা‘র প্রতিবাদে কমলগঞ্জে মানব বন্ধন কমলগঞ্জে গলাকেটে ছাত্রদল নেতাকে হত্যা তীরের সাথে গলায় দড়ি দিয়ে যুবকের আত্মহত্যা কমলগঞ্জে জুলাই গণঅভ্যূত্থান দিবসে আলোচনা সভা কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্টোরকিপার সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত । কমলগঞ্জ উপজেলা জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদ গঠন দারিদ্রতার বেড়াজালে বন্দী অনন্যার চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন কমলগঞ্জে যুবতীর আত্মহত্যা সীমাহীন ভোগান্তিতে টমেটো গ্রাম বনগাঁও এর কৃষকরা চিরনিদ্রায় মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন (অব.) সাজ্জাদুর রহমান চা শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়নে অনিয়মের অভিযোগ

জমে উঠেছে শীতবস্ত্রের বেচাকেনা

রিপোটার : / ৬৩৪ বার দেখা হয়েছে
প্রকাশিত : বৃহস্পতিবার, ১৮ নভেম্বর, ২০২১

কমলকন্ঠ রিপোর্ট ।। শীত প্রধান হাওর বাওর এবং সীমান্তঘেষা দেশের চা অঞ্চলখ্যাত এ জেলায় শীতের আগমন টের পাওয়া যাচ্ছে কয়েকদিন ধরেই। সন্ধ্যা নামতেই কমে যাচ্ছে তাপমাত্রা। সন্ধ্যা থেকে ভোর পর্যন্ত কুয়াশার চাদরে মোড়া থাকছে গ্রামীন জনপদগুলো। দেশের অন্যান্য এলাকার ন্যায় এখানে শীত এখনো জেঁকে না বসলেও তাকে স্বাগত জানাতে গরম কাপড় কিনছেন লোকজন। মৌলভীবাজারসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলার ফুটপাত ও বড় বড় শপিংমলগুলোতে শীতবস্ত্রের পসরা সাজিয়ে বসছেন দোকানিরা। বেচাকেনাও জমে উঠেছে।

এদিকে, দিন যত গড়াচ্ছে শীতবস্ত্রের বিক্রি ও দাম বাড়ছে। দামও ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় নিম্নবিত্ত মানুষদের পক্ষে শীতের পোশাক কেনা দুঃসাধ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিত্তবানরা অভিজাত শপিংমল ও বিপণিবিতানে ছুটলেও মধ্যবিত্তের অনেকেই ফুটপাতের দোকানগুলোর দ্বারস্থ হচ্ছেন।

দোকানিরা জানিয়েছেন, ফুটপাত ও মার্কেটগুলোতে সোয়েটার, উলের পোশাক, বেজার, ট্রাউজার, জ্যাকেট, চাদর, মাপলার, কানটুপিসহ নানা ধরনের শীতবস্ত্রের দাম এখন তুলনামূলক বেশি।
মৌলভীবাজার শহরের এম সাইফুর রহমান সড়কের জুলিয়া শপিং সিটি ও আশরাফ সেন্টার এর কাপড় ব্যবসায়ী শাহীন,কাবের,রিপন, সুকান্ত,অজিত,মামুন, সোহাগ হোসেন দৈনিক মৌমাছি কন্ঠকে বলেন, ‘কয়েকদিন ধরে শীতের পোশাক ভালো বিক্রি হচ্ছে। ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী নানা ধরনের শীতের পোশাক এনেছি। ক্রেতারাও ভিড় করছেন পছন্দের পোশাক কিনতে। তাই, বেচাকেনাও ভালো হচ্ছে।
দামের বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘শীতের সময়ই কেবল গরম কাপড় বিক্রি হয়। তাই, ব্যবসায়ীরা একটু লাভে বিক্রি করছেন। তবে দাম সর্বসাধারণের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যেই আছে।

অন্যদিকে, অপেক্ষাকৃত কম দামে বিভিন্ন ধরনের শীত পোশাক পাওয়া যাচ্ছে জেলা শ্রীমঙ্গল,মৌলভীবাজার জেলা শহরসহ অন্যন্যা উপজেলার ফুটপাতে। মার্কেটের তুলনায় দাম কম হওয়ায় নিম্ন আর মধ্যবিত্ত পরিবারের অনেকেই ভিড় করছেন ফুটপাতে। মৌলভীবাজার জুলিয়া শপিং সিটি,আশারাফ সেন্টার, বঙ্গবাজার, জনতা ম্যানশন,সেভেন স্টার, আহমদ ম্যানশন এর আশপাশের ফুটপাতে সব ধরনের শীতের পোশাক পাওয়া যাচ্ছে।

এসব মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে, ফুটপাতে উলের সোয়েটারের দাম পড়ছে ২৫০ থেকে ৫০০ টাকা। মানভেদে জ্যাকেট পাওয়া যাচ্ছে ৪৫০ থেকে ৮০০ টাকায়। এসব মার্কেটে দেশীয় তৈরি চাদর ৫০০ থেকে ২ হাজার টাকা, উলের সোয়েটার ৪০০ থেকে ২ হাজার ৫০০ টাকা, কার্ডিগান ২০০ থেকে ৩০০ টাকা এবং কানটুপি দাম ১৫০ থেকে ৩০০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।

ইামী-দামী উন্নত কিছু মার্কেটে বেজার ১ হাজার ৫০০ থেকে ৫ হাজার টাকা, চামড়ার জ্যাকেট ২ হাজার থেকে ৩ হাজার ৫০০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।
বিক্রেতারা জানান, গত বছরের চেয়ে ১৫ থেকে ২০ শতাংশ বেশি দামে শীতবস্ত্র বিক্রি করছেন তারা।
বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে আরো জানা গেছে, চীনের বিভিন্ন ধরনের শাল ও চাদর বিক্রি করছেন ৩০০ থেকে ৫০০ টাকায়। দেশি ভালো মানের চাদরের দাম ৩০০ থেকে ৭০০ টাকা। উলের তৈরি সোয়েটার বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ৮০০ হাজার টাকায়।
বিক্রেতা তানভীর বলেন, ‘শীত বাড়ায় কেনাবেচা বাড়ছে। সারা দিনই কাপড় বিক্রি হচ্ছে।

দাম বেশি কেন, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘শীতের পোশাক তো সারা বছর বিক্রি হয় না। এ সময় চাহিদা বেশি থাকায় দাম একটু বেশি।
শ্রীমঙ্গল উপজেলা শহর ও জেলা শহরের শপিং মহল ও অভিযাত মার্কেট গুলোতে পাওয়া যাচ্ছে মেয়েদের হরেক রকমের কার্ডিগান, সোয়েটার ও গ্যাবার্ডিনের লং জ্যাকেট। প্রতিটি সোয়েটারের দাম ৫০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা পর্যন্ত। মেয়েদের কাছে গ্যাবার্ডিনের লং জ্যাকেটের চাহিদা বেশি বলে জানান ব্যবসায়ী মশাহিদ, দুরুদ, হোসেনসহ আরো অনেকে।
শহরের সাইফুর রহমান রোর্ডের ফুটপাত থেকে গরমের কাপড় কিনছিলেন রিকশাচালক মাজেদ। তিনি বলেন, ‘বড় বড় মার্কেট থেকে পোশাক কেনার সামার্থ্য নেই। এজন্য ফুটপাত থেকে কিনতে হচ্ছে। আমার মতো যেসব লোক বিভিন্ন শপিংমল থেকে নতুন পোশাক কিনতে পারেন না, তারা ফুটপাত থেকে কম দামে গরম পোশাক কিনেন। তবে, গত বছরের চেয়ে দাম বেশি চাচ্ছেন বিক্রেতারা।

পত্রিকার বিক্রেতা শংকর,আপ্রান বলেন, ‘আমরা মূলত সোয়েটার বিক্রি করি। যেগুলো পোশাক কারখানা থেকে থেকে রিজেক্ট হয়ে আসে, সেগুলো বিক্রি করি। আমাদের ক্রেতা হচ্ছে নিম্ন আয়ের মানুষ। তারা অল্প দামে আমাদের পোশাক পেয়ে খুশি হন।

 

 


আরো সংবাদ পড়ুন...
Developed By Radwan Ahmed
error: Content is protected !!
error: Content is protected !!