Logo
সংবাদ শিরোনাম :
শমশেরনগর হাসপাতালে দিনব্যাপী চক্ষু চিকিৎসা ক্যাম্প আল্পনার সাত রঙে সেজেছে বিটিআরআই সড়ক কমলগঞ্জে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমী উপলক্ষ্যে মঙ্গল শোভাযাত্রা খালেদা জিয়ার ৮১তম জন্মদিনে যুবদলের দোয়া মাহফিল সিলেটের পরিবেশগত সমস্যা নিয়ে কমলগঞ্জে বেলা’র প্রচারাভিযান ‘সাংবাদিকতার অধিকার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এর খসড়া চূড়ান্ত কমলগঞ্জ থানা পরিদর্শন করেন সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি মাধবপুর চা বাগান থেকে বৃদ্ধের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার সাংবাদিক তুহিন হত্যা‘র প্রতিবাদে কমলগঞ্জে মানব বন্ধন কমলগঞ্জে গলাকেটে ছাত্রদল নেতাকে হত্যা তীরের সাথে গলায় দড়ি দিয়ে যুবকের আত্মহত্যা কমলগঞ্জে জুলাই গণঅভ্যূত্থান দিবসে আলোচনা সভা কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্টোরকিপার সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত । কমলগঞ্জ উপজেলা জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদ গঠন দারিদ্রতার বেড়াজালে বন্দী অনন্যার চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন কমলগঞ্জে যুবতীর আত্মহত্যা সীমাহীন ভোগান্তিতে টমেটো গ্রাম বনগাঁও এর কৃষকরা চিরনিদ্রায় মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন (অব.) সাজ্জাদুর রহমান চা শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়নে অনিয়মের অভিযোগ বাড়িতে গিয়ে জন্ম সনদ ও শুভেচ্ছা বার্তা প্রদান

মৌলভীবাজারের হাওরাঞ্চলের রানী মাছ বিপন্ন প্রজাতি

রিপোটার : / ১১৫৯ বার দেখা হয়েছে
প্রকাশিত : সোমবার, ১০ আগস্ট, ২০২০

কমলকন্ঠ রিপোর্ট ।।

রানী মাছ, মৎস্যকুলের রানী হওয়ার মত সব সৌন্দর্যই রয়েছে তার। হলুদ সোনালি মিশেল দেহে তীর্যক কালো-বাদামি ডোরা কাটা দাগ আর ধনুকের মত বাঁকানো পৃষ্ঠশে অপরূপ সৌন্দর্যের যেন নিখুঁত আল্পনা।
এককালে এদেশের মিঠাপানির জলাশয় বিশেষ করে খাল, বিল, হাওড়-বাওড় ও নদীতে প্রচুর পাওয়া যেত। সাধারণত জলাশয়ের তলদেশে পরিষ্কার পানিতে বাস, তবে ঘোলা পানিতেও এদের কখনো কখনো দেখা যায়। এতে অবশ্য মাছের রঙ কিছুটা ফ্যাকাশে হয়। সিলেট, ময়মনসিং, রাজশাহী, রংপুর, দিনাজপুর, ফরিদপুর, চট্টগ্রাম অঞ্চলে এ মাছের বিস্তৃতি রয়েছে। এছাড়া পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতেও এদের দেখা যায়।
মৌলভীবাজারের সিনিয়র মৎস কর্মকর্তা সুলতান মাহমুদ বলেন, সিলেটের হাওরগুলোতে এক সময় রানী মাছের নিয়মিত দেখা মিললেও সাম্প্রতিককালে এটি বিপন্ন হয়ে পড়ে। একেবারে বিলুপ্ত হওয়ার উপক্রম হয়ে যায়। কালে ভদ্রে অন্য মাছের সাথে মিশ্রভাবে দুই একটা মাছের হয়ত দেথা মিলত। তবে ইদানিং প্রচুর পরিমাণে এই মাছ উঠছে জেলের জালে। বাজারেও পাওয়া যাচ্ছে বেশি পরিমানে। এগুলো দেখতে যেমন সুন্দর, খেতেও সুস্বাদু। এর পুষ্টিগুণও ভাল। বাংলাদেশের মানুষ এই মাছ পছন্দ করে। তবে হাওরে ইজারাদাররা নির্বিবাদে মাছ শিকার, প্রাকৃতিক বিবর্তন এবং প্রজনন কেন্দ্র ধ্বংস করায় মাছটি বিলুপ্ত হতে চলছিল।
বিশেষ করে শুকনো মৌসুমে খাল বিল শুকিয়ে মাছ আহরণ করায় মা মাছের অবশিষ্টও আর থাকত না। তবে ইদানিং এই মাছের দেখা মিলছে নিয়মিত। সরকারের মৎস্য অভয়াশ্রম গড়ে তোলাসহ বিভিন্ন পদক্ষেপের ফলে মাছটিকে বাঁচিয়ে রাখার সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে। করোনাকালীন উন্মুক্ত জলাশয়ে মাছ ধরার চাপ কম থাকা, প্রজনন মৌসুমে পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত, যথাসময়ে পানি বৃদ্ধির কারনে এবছর রাণী মাছের প্রাচুর্যতা বেশি।এ রানী মাছসহ বিলুপ্তপ্রায় দেশীয় বিভিন্ন প্রজাতির মাছ রক্ষায়, জলমহাল খনন, নির্বিবাদে মাছ শিকার বন্ধ এবং প্রজনন ক্ষেত্র রক্ষার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণের পাশাপাশি জনসচেতনতা বৃদ্ধিরও প্রয়োজন।
অঞ্চলভেদে রানী মাছকে বেতি, বৌমাছ, পুতুল মাছ, বেতাঙ্গী, বেত্রাঙ্গী, বেটি, বুকতিয়া ইত্যাদি নামে ডাকা হয়। সিপ্রিনিডি বর্গের অধীন কোবিটিডি গোত্রভুক্ত এ মাছের বৈজ্ঞানিক নাম বেটিয়া ডরিও। চলনবিল এলাকায় এর নিকটতম আরেকটি প্রজাতি বেটিয়া লোহাচিটা দেখা যায়।
রানী মাছ খেতে খুবই সুস্বাদু। বাজারে এর বেশ চাহিদা। খেপলা জাল, টানা জাল, গোগাজাল, চাই, ডরি ইত্যাদি দ্বারা এদের ধরা হয়। সিলেট অঞ্চলে বউ মাছের ুটি প্রজাতি পাওয়া যায়, যারা খেতে অনেকটা একই ধরনের হলেও দেহের বাহ্যিক বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে এদেরকে পৃথক করা যায়। চলন বিল সংলগ্ন এলাকায় মাছ ছুটি বউ মাছ বা রাণী মাছ নামে পরিচিত হলেও দেশের অন্যান্য অনেক স্থানে এটি বেটি, পুতুল, বেতাঙ্গী ইত্যাদি নামে পরিচিত। বউ মাছ দেখতে অত্যন্ত আকর্ষনীয় এবং চ্যাপ্টা ও লম্বাটে দেহবিশিষ্ট। উভয় মাছেরই মুখ আকারে ছোট এবং ৪ জোড়া ক্ষুদ্রাকৃতির স্পর্শী থাকে। প্রজননক্ষেত্র ধ্বংস; জলাশয় সম্পূর্ণ শুকিয়ে মাছ ধরা ইত্যাদি কারণে এই মাছের অস্তিত্ব আজ হুমকির সম্মুখীন।


আরো সংবাদ পড়ুন...
Developed By Radwan Ahmed
error: Content is protected !!
error: Content is protected !!