কমলকন্ঠ ডেস্ক ।। আজ ২০ ডিসেম্বর, মৌলভীবাজারের স্থানীয় শহিদ দিবস। মৌলভীবাজারবাসীর স্বজন হারানো একটি দিন। ১৯৭১ সালের এদিনে পুরো দেশ যখন বিজয়ের আনন্দে ভাসছিল, ঠিক তখন মৌলভীবাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে রহস্যজনক মাইন বিস্ফেরাণে নিহত হন ২৪ জন ঘরে ফেরা বীর মুক্তিযোদ্ধা।
দিবসটি উপলক্ষে আজ সোমবার (২০ ডিসেম্বর) সকালে মৌলভীবাজার সরকারি উচ্চ বিদ্য্যালয় মাঠে শহীদস্তম্ভে এক মিনিট নিরবতা পালন শেষে শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে শহীদস্তম্ভে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন- জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সংসদ সদস্য নেছার আহমদ, সংরক্ষিত নারী আসনের (মৌলভীবাজার-হবিগঞ্জ) সংসদ সদস্য সৈয়দা জোহরা আলাউদ্দিন, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মিছবাহুর রহমান, পৌর মেয়র ফজলুর রহমান, উপজেলা চেয়ারম্যান কামাল হোসেনসহ বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ।এছাড়াও শ্রদ্ধা জানায় জেলা প্রশাসন, পুলিশ বিভাগ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, জেলা আওয়ামী লীগ, উপজেলা পরিষদ, উপজেলা প্রশাসন, প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষজন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা জসীম উদ্দীন মাসুদ।
এছাড়াও শহীদদের স্মরণে শহীদ স্মৃতিচারণ, বীরমুক্তিযোদ্ধা সম্মাননা ও সাস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে জেলা পরিষদ।
মৌলভীবাজার জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মিছবাহুর রহমানের সভাপতিত্ব আলোচনা সভা ও সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৌলভীবাজার-৩ আসনের সংসদ সদস্য নেছার আহমদ।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংরক্ষিত আসনের সাংসদ সৈয়দা জোহরা আলাউদ্দিন, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী খোদেজা খাতুন, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মো. কামাল হোসেন, পৌর মেয়র মো. ফজলুর রহমান ও সাবেক জেলা কমান্ডার জামাল উদ্দিন।
অনুষ্টানে স্বাধীনতা পদক প্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা আজিজুর রহমান ও বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ মহসিন আলী ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক নুরুল ইসলাম মুকিত, আব্দুল ওয়াদুদ এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ আব্দুল মতিনকে মরণোত্তর সম্মাননা প্রদান করা হয়।
এছাড়া মৌলভীবাজার জেলার ২০০জন যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ৫ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয় এবং ২০ জন দুঃস্থ ও প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত মহিলাদের মধ্যে সেলাই মেশিন বিতরণ করা হয়।KgjKb|U