Logo
সংবাদ শিরোনাম :
প্রেসক্লাবের নির্বাচনে নবীনদের জয়জয়কার – শাওন সভাপতি, আলম সম্পাদক নির্বাচিত শমশেরনগর হাসপাতালে দিনব্যাপী চক্ষু চিকিৎসা ক্যাম্প আল্পনার সাত রঙে সেজেছে বিটিআরআই সড়ক কমলগঞ্জে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমী উপলক্ষ্যে মঙ্গল শোভাযাত্রা খালেদা জিয়ার ৮১তম জন্মদিনে যুবদলের দোয়া মাহফিল সিলেটের পরিবেশগত সমস্যা নিয়ে কমলগঞ্জে বেলা’র প্রচারাভিযান ‘সাংবাদিকতার অধিকার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এর খসড়া চূড়ান্ত কমলগঞ্জ থানা পরিদর্শন করেন সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি মাধবপুর চা বাগান থেকে বৃদ্ধের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার সাংবাদিক তুহিন হত্যা‘র প্রতিবাদে কমলগঞ্জে মানব বন্ধন কমলগঞ্জে গলাকেটে ছাত্রদল নেতাকে হত্যা তীরের সাথে গলায় দড়ি দিয়ে যুবকের আত্মহত্যা কমলগঞ্জে জুলাই গণঅভ্যূত্থান দিবসে আলোচনা সভা কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্টোরকিপার সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত । কমলগঞ্জ উপজেলা জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদ গঠন দারিদ্রতার বেড়াজালে বন্দী অনন্যার চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন কমলগঞ্জে যুবতীর আত্মহত্যা সীমাহীন ভোগান্তিতে টমেটো গ্রাম বনগাঁও এর কৃষকরা চিরনিদ্রায় মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন (অব.) সাজ্জাদুর রহমান চা শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়নে অনিয়মের অভিযোগ

শৈতপ্রবাহের কারণে জনজীবন স্থবির ॥ বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগ

রিপোটার : / ২২৪ বার দেখা হয়েছে
প্রকাশিত : শুক্রবার, ২৮ জানুয়ারী, ২০২২

https://i2.wp.com/www.patakuri.com/wp-content/uploads/2022/01/Kamalgonj-Cold-Pic-1.jpg?resize=1024%2C546

কমলকন্ঠ রিপোর্ট।। মৌলভীবাজারের সীমান্তবর্তী কমলগঞ্জ উপজেলাজুড়ে কনকনে শীত ও হিমেল হাওয়ার কারণে জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছে। শনিবার ২৯ জানুয়ারি সকাল ৯টায় মৌলভীবাজার জেলায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। টানা কয়েক দিন ধরে কনকনে শীত ও হিমেল হাওয়ার কারণে জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছে। শহর থেকে গ্রামে শীতের তীব্রতা বেশি। এখানে গ্রাম ও চা-বাগান অঞ্চলে শীতের তীব্রতা আরও বেশি। পর্যাপ্ত শীতবস্ত্রের অভাবে সেখানকার মানুষজন পড়েছেন ভোগান্তিতে। উপজেলায় ঠাণ্ডাজনিত রোগে প্রতিদিন হাসপাতালে শিশু ও বয়স্কদের নিয়মিত ভর্তি অব্যাহত রয়েছে। প্রায় মানুষই জ্বর, সর্দি ও কাশিতে আক্রান্ত। দিনে কিছু সময়ের জন্য সূর্য্যরে দেখা মিললেও শীতের তীব্রতা কমছে না। হাড় কাঁপানো শীতে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন চা শ্রমিক, গরিব, ছিন্নমূল ও খেটে খাওয়া মানুষ। কষ্টে রয়েছে গবাদিপশুও। নিম্ন আয়ের মানুষের মাঝে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে শীতবস্ত্র¿ বিতরণ করা হলেও তা চাহিদার তুলনায় একেবারে কম।
কমলগঞ্জ উপজেলায় গাছ গাছালি ও সবুজে ঘেরা থাকায় চা বাগান সমুহে সাধারণত শীত, মৃদু বাতাস ও কূয়াশাও তুলনামূলক বেশি থাকে। ফলে প্রচণ্ড ঠান্ডার সময়ে কাবু হয়ে পড়েন চা শ্রমিকদের একটি বৃহৎ অংশ। পর্যাপ্ত গরম কাপড়ের অভাবে হাড় কাঁপানো শীতে তারা খুবই কষ্টে দিনযাপন করছেন। কয়েক বছর আগেও শ্রমিকদের চাহিদা অনুযায়ী বাগান কর্তৃপক্ষ শীত নিবারনে চটের বস্তা বিতরণ করলেও এখন আর কোন কিছু দেয়া হয় না। হাড় কাঁপানো শীতে কাহিল হয়ে পড়ছে বৃদ্ধ ও শিশুরা। পর্যাপ্ত শীতবস্ত্র না থাকায় মানবেতর জীবন-যাপন করছে নিম্ন আয়ের লোকজন। শীতে ছিন্নমূল মানুষেরা বেশি ভোগান্তিতে রয়েছে। চারদিকে শীতজনিত রোগ নিউমোনিয়া, সর্দি, কাশি, জ্বর, আমাশয়সহ নানা রোগ দেখা দিয়েছে। হাটবাজারে শীতের কাপড়ের চাহিদা বেড়ে গেছে। অনেকেই আগুন জ্বালিয়ে শরীরে উত্তাপ নিচ্ছেন। মানুষ জরুরী প্রয়োজন ছাড়া বাড়ি থেকে বের হচ্ছেন না।

চা শ্রমিকরা জানান, স্বল্প আয় থাকায় গরম কাপড় কেনা তাদের অধিকাংশেরই সামর্থ্যের বাইরে। শীত নিবারনে এসব পরিবার সদস্যরা ঘরের ভেতরে ও বাইরে খড়খুঁটো দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে সময় কাটান। বর্তমানে চা বাগানে শ্রমিকদের মধ্যে বাগান পঞ্চায়েত, জনপ্রতিনিধি ও ম্যানেজমেন্টের সুবিধাভোগীসহ স্বচ্ছল প্রায় ১০ শতাংশ হাতে গোনা কিছু পরিবার স্বাচ্ছন্দে দিন কাটালেও ৯০ শতাংশেরই খুবই দু:খ-কষ্টে দিনযাপন করতে হচ্ছে। শমশেরনগর চা বাগানের শ্রমিক স্বপন গোয়ালা, আদরমনি মৃধা বলেন, দৈনিক মাত্র ১২০ টাকা মজুরিতে পাঁচ, সাত সদস্যের পরিবারের সংসারে নুন আনতে পান্তা ফুরোয়। আমরা চা শ্রমিকরা খাইবো কি আর কাপড় চোপড় কিনবোই বা কি? আর বাজারে জিনিসপত্রের দামও যে হারে বাড়ছে তাতে গরম কাপড় কেনা মোটেও সাধ্য নেই। অভাব অনটনসহ সব মিলিয়ে শীতে আমাদের কষ্ট আরও একধাপ বেড়েছে। সবগুলো চা বাগানে একই অবস্থা। তারা আরও বলেন, শীতে খড়কুঁটো বিছিয়ে কেউ কেউ ঘুমানোর ব্যবস্থা করেন। কেউ কেউ বস্তা বিছিয়ে ঠান্ডা থেকে রক্ষার চেষ্টা করেন আবার কেউ কেউ আগুন জ্বালিয়ে শরীরে গরম ভাপ লাগান।
শমশেরনগর কানিহাটি চা বাগানের শ্রমিক নেতা সীতারাম বীন, দেওছড়া চা বাগান পঞ্চায়েত সভাপতি শংকর রবিদাস ও চা শ্রমিক সংঘের নেতা রাজদেও কৈরী বলেন, শীতের সময়ে চা শ্রমিকদের মধ্যে বাগান কর্তৃপক্ষ কোন শীতবস্ত্র বিতরণ করেন না। কয়েক বছর আগে বাগান কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের মধ্যে চটের বস্তা বিতরণ করতো। এখন আর কিছুই দেয়া হয় না। অধিকাংশ শ্রমিক পরিবার সদস্যরা শীতে কষ্ট পোহাচ্ছেন। তাছাড়া চা বাগানগুলোতে চিকিৎসা ব্যবস্থাও নাজুক। ডিসপেনসারীগুলোতে ভালো চিকিৎসা সুবিধাও নেই। সবমিলিয়ে চা শ্রমিকরা ভালো নেই।


আরো সংবাদ পড়ুন...
Developed By Radwan Ahmed
error: Content is protected !!
error: Content is protected !!